আপনি বিদেশ ভ্রমন বা চাকরিতে যেতে চান প্রথমে পাসপোর্ট এর প্রয়োজন। বিদেশে পাসপোর্ট হল আপনার পরিচয় পত্র
এটি আপনার পরিচয় বহন করে আপনি কোন দেশের নাগরিক। মনে রাখবেন কোন দেশে যাবার আগে পাসপোর্ট
চেকিং করে নিন যে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কত দিন আছে? কারণ আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কম
পক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। এর এই পাসপোর্ট রেণু করবেন কি ভাবে তাহার বর্ণনা করা হবে যে
না আপনি সহজে দেশ অথবা বিদেশ থেকে করতে পারেন। এখন পাসপোর্ট ৫ বছর ও দশ বছরের মেয়াদের হয়ে থাকে। ই পাসপোর্ট প্রচলিত আছে । আগে ছিল আনা লগ তার পর ডিজিটাল, এখন ই-পাসপোর্ট
(E-PASSPORT) । ই- পাসপোর্ট মানে ইলেকট্রিক পাসপোর্ট। ই- পাসপোর্ট দুই ভাবে আপনি পাসপোর্ট
আবেদন করতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে বা অন লাইনে আবেদন করে। পুর পুরী জানতে
আমাদের সাথে থাকুন। আমরা আজকে যাবো সহজ উপায়ে পাসপোর্ট করার নিয়ম বিবরণ সহ কারে | New Passport Application process in Bangladeshi
সহজ উপায়ে পাসপোর্ট করার নিয়ম বিবরণ সহ কারে |
ই- পাসপোর্ট মেয়াদ বিবরণ প্রকাশঃ-
·
ই-পাসপোর্ট
৫ বছর মেয়াদ ও ৪৮ পেজ আর ৬৪ পেজ প্রদান করা হয়
·
ই-পাসপোর্ট
১০ বছর মেয়াদ ও ৪৮ পেজ আর ৬৪ পেজ প্রদান করা হয়
পাসপোর্ট দুই ধরনঃ-
পাসপোর্ট দুই
ধরনের পেশা হয়ে থাকে যেমন
– সাধারণ
পেশা পাসপোর্ট
– অফিসিয়াল
পেশা পাসপোর্ট
সাধারণ পেশা পাসপোর্ট কিঃ- এই পেশার পাসপোর্ট ফোল্ডাররা যে কোন কাজ করতে পারে
যেমন হেল্পার, কাঠমিস্ত্রি, রাজ মিস্ত্রি , ড্রাইভার ইত্যাদি
অফিসিয়াল পেশা
পাসপোর্ট কিঃ- এই পেশার পাসপোর্ট ফোল্ডাররা শুধু
এই কাজেই করতে পারবে।
ই- পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
|
কিভাবে আপনার ভিসা অনলাইনে চেক করবেন কিক করুন
ই- পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ই-পাসপোর্ট
করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
1.
ইন-আইডি
(NID Card)
2.
জন্ম
নিবন্ধন (বয়স ১৮ বছরের কম হলে আবশ্যক)
3.
পাসপোর্টের
আবেদন সামারি
4.
পাসপোর্টের
আবেদন কপি
5.
নাগরিক
সনদ
6.
গ্যাস
বিল বা বিদ্যুৎ বিল
7.
পেশা
প্রমাণ পত্র
8.
পিতা
মাতার NID Card কপি
সহজ উপায়ে পাসপোর্ট করার নিয়ম বিবরণ সহ কারে |
অন লাইনে নতুন ই পাসপোর্ট আবেদনের ও পদ্ধতি নিয়ম:-
এই প্রক্রিয়া আনু সরণ করলে দালাল দরকার হবে না। আপনার নিজের পাসপোর্ট নিজে করতে পারবেন।
আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে করতে পারবেন
।
বাবা মায়ের তথ্য ক্ষেত্রে আপনার পিতার নাম এনআইডি কার্ড যেভাবে আছে সেই ভাবেই, পিতার পেশা, পিতার জাতীয়তা, এনআইডি কার্ড নাম্বার, মাতার নাম, মাতার পেশা, মাতারা এনআইডি কার্ড ইত্যাদি।
আপনার কাগজপত্র
রেডি হয়ে গেলে এখন আমরা আগে ধাপে যেতে পারি প্রথমে কাগজ গুলো কে Pdf ফাইল বানিয়ে
নিন আলাদা আলাদা ভাবে।
এরপর আপনার
ব্রাউজার যাবেন এবং গুগলে যাবেন (google) লিখবেন Bangladesh e-Passport
Application Portal অথবা w w w . epassport.gov. bd প্রবেশ করুন ।
আপনার নামে
একটু অ্যাকাউন্ট তৈরি নিন। সকল তথ্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য প্রদান করুন। এবং
নির্ভুল ভাবে সাথে ইমেইলের ঠিকানা প্রদান করুন ।
কারণ সকল আপডেট আপনি ইমেলের মাধ্যমে পাবেন
এর পর অ্যাপ্লাই অন লাইন অপশন খুঁজে নিন (apply
online) এবং ক্লিক করে প্রবেশ করুন।
এর পর আপনার
পাসপোর্টের অফিস অন্তর্ভুক্ত থানা নাম খুঁজুন
এর পর ফরম পুরন করুন সাথে আপনার ব্যক্তিগত ও আপনার পিতা মাতার নাম সহকারে সঠিক তথ্য উপাত্ত প্রদান করুন
আপনার পাসপোর্টের বিভাগীয় বা আঞ্চলিক ও থানা নির্বাচন করুন এরপর আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করে থাকেন তাহলে are you applying from Bangladesh? স্থানে (yes) লিখুন বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করে থাকেন তাহলে নো (No) লিখুন।
আপনার পাসপোর্ট অফিসের নাম এবং আপনার থানার নাম খুজে নিন। এখন আপনার ইমেল ভেরিফিকেশন । ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে নির্ভুলভাবে আপনার ইমেইল এড্রেস প্রদান করুন।
I’m human এখানে টিক চিহ্ন দিয়ে ভেরিফাই করুন। ইমেইল ভেরিফিকেশনের পরে এই পাসপোর্ট পেটাল ওয়েব সাইট টাই আপনার একাউন্ট খুলে নিন এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ও মোবাইল নাম্বার দি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
এরপর আপনার ইমেইলে একটা ই পাসপোর্ট থেকে মেইল আসবে। সেখানে একটা লিংক থাকবে সেই লিংকে ক্লিক করুন এখানে আপনার ইমেইল এড্রেস ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।
এখন পাসপোর্ট এর ধরন নির্বাচন করার ফলা আপনি যদি অর্ডিনারি পাসপোর্ট করতে চান তাহলে অর্ডিনারি আর যদি অফিসিয়াল পাসপোর্ট করতে চান তাহলে অফিসিয়াল পাসপোর্ট নির্বাচন করুন।
এখন আপনার ঠিকানা নির্বাচনের কারণ পুলিশ ভেরিফিকেশনে জন্য সঠিক ঠিকানা নির্বাচন করা অপরিহার্য। যেমন আপনার জেলার নাম, থানার নাম, গ্রামের নাম, রোড নাম্বার, পোস্ট অফিস, পোস্ট কোড নাম্বার ইত্যাদি নির ভুল ভাবে প্রদান করুন।
আপনার আগের পাসপোর্ট আছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাইয়ের পালা । আপনার যদি পুরনো পাসপোর্ট থাকে তাহলে এটা টিক করে দিতে হবে আর যদি না থাকে তাহলে no I don’t have passport ঠিক করে দিতে হবে। আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থাকে তাহলে তার তথ্য দিতে হবে আর যদি না থাকে তাহলে I don’t have নির্বাচন করুন।
এখন আপনার বৈবাহিক অবস্থানের তথ্য পরিবেশন। বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে married আর অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে unmarried নির্বাচন করুন।
আপনার কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট প্রয়োজন। ৪৮ পৃষ্ঠা না ৬৪ পৃষ্ঠা সেটা নির্বাচন করুন।