অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত জীবন যাত্রার দেশ এই দেশের পড়ালেখা, চিকিৎসা, আধুনিক রাস্তাঘাট, প্রযুক্তি গত সুবিধা ইত্যাদি কারণে সকল দেশের নাগরিকদেয় অস্ট্রেলিয়া একটি প্রছন্দের স্থান। এই দেশে আদিবাসীরা নাগরিকত পাই। এই নাগরিকত্বের জন্য আপনাকে নিচের লিখত ভিসার গোলোর মাধ্যমে ওই দেশে আসতে হবে। আজকে আমার আলোচনার বিষয় বস্তু অস্ট্রেলিয়া ভিসা ও ভিসা ফি নিয়ে।
আমার এই পোস্টে আপনি অস্ট্রিলিয়া ভিসার যে সমাধান গুলো পাবেনঃ
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা
- অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশ
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী
অস্টেলিয়া ভিসার প্রধান ক্যাটাগরি গুলো হলঃ
- স্টুডেন্ট ভিসা / কোড ৫ ০ ০
- ওয়ার্ক ভিসা / কোড ৪ ৮ ২ /১ ৮ ৯ /১ ৯ ০
- ট্যুরিস্ট ভিসা / কোড ৬ ০ ০
- পাটনার ভিসা / কোড ৮ ২ ০ /৮ ০ ১
- পার্মানেন্ট ভিসা / কোড ১ ৮ ৯ /১ ৯ ০
- ইনভেস্টমেন্ট ভিসা / কোড ১ ৮ ৮
- ওয়াকিং হলিডে ভিসা / কোড ৪ ১ ৭ /৪ ৬ ২
নিচে অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং গুলোর সংক্ষেপে ধারণা দেওয়া হল।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং- STUDENT VISA:-
অস্টেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ফিরে AUD ৭ ০ ০ থেকে ৪ ০ ০ AUD হয়। এটি বিভিন্ন মেয়াদের হয়। এই ভিসার কোড ৫ ০ ০ (SUBCLASS-৫ ০ ০ ) এই ভিসা দিয়ে আল্ট্রলিয়া শিক্ষার পাশাপাশি আপনি কাজ করতে পারবেন তবে সপ্তাহে ২ ৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। এই ভিসার মেয়াদ কাল ৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা যোগতা:- নিচে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা প্রয়োজনী কাগজের প্রয়োজন।
- প্রত্যায়ন পত্র
- আর্থিক সমর্থ্য
- ইংরেজি দক্ষতা
- ইন্সুরেন্স
- পুলিশ ক্লেয়ারেন্স
- মেডিক্যাল রিপোর্ট
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পক্রিয়া :-
- আপনার পছন্দের শিক্ষা পতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন
- ভর্তি নিচ্ছিত কর
- IMMIACCOUNT তৈরী করে ভিসার আবেদন করা
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপলোড করা
- ভিসা ফি প্রদান করা
- মেডিকেল ও বায়োমেট্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা
- আবেদন ট্র্যাক করা
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং – WORK VISA:-
অস্টেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ক ভিসা পেতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন বিভিন্ন তর্থ প্রদান করতে হয়। এই ভিসা খরচ এর পরিমান ৮ লক্ষ থেকে ১ ২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। পক্রিয়া গুলো নিচে আলোচনা করা হলঃ
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা ধরণ :-
- অস্থায়ী কাজের জন্য যে ভিসা:- কোড – ৪ ৮ ২
- দক্ষ কর্মীর জন্য স্থায়ী ভিসা :- কোড – ১ ৮ ৯
- নোমিনেটেড ভিসা :- কোড -১ ৯ ০
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা আবেদন যোগ্যতা ও আবেদন পক্রিয়া :-
- শিক্ষাগত যোগ্যতার ইংরেজি কথা বলা ও লিখা জানতে হবে।
- কাজের অভিজ্ঞতা সনদ প্রদান করতে হবে।
- ইংরেজি ইএল্টস পরীক্ষায় নিদিষ্ট স্কোর অর্জন করতে হবে।
- কাজের অফার লেটার থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট কপি সাথে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- অনলাইন আবেদন পত্র।
- ভিসা ফি প্রদান।
- বায়োমেট্রিক ও মেডিকেল।
অস্ট্রেলিয়া কাজ ও বেতন :-
- কন্সট্রাকশন কাজের প্রত্যেক ঘণ্টা বেতন – ৩ ০ থেকে ৪ ৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
- হসপিটাল এর কাজে প্রতিঘন্টা বেতন – ৩ ৫ থাকে ৫ ০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
- স্টুডেন্টদের পার্টটাইম প্রতি ঘন্টা বেতন ২ ০ থেকে ৩ ০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
অস্ট্রেলিয়া পার্ট-টাইম কাজের সেক্টর সমূহ:-
- রেস্টুরেন্ট ওয়েটার
- রেস্টুরেন্ট হেল্পার
- সুপার মার্কেট ক্যাশিয়ার
- সুপার মার্কেট হেলপার
- ফুড ডেলিভারি সার্ভিস
- অফিস সহকারী ডাটা এন্ট্রি
- অফিস রেসিফসনিস্ট
- হাউস ক্লিনিং সার্ভিস
- অফিস ক্লিনিং
- হসপিটাল ক্লিনিং
অস্ট্রেলিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা – TOURIST VISA:-
অস্টেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা সর্বোচ ১ ২ মাসের অনুমতি পাওয়া যায়। এই ভিসায় সাধারণত টুরিস্ট অস্ট্রিলিয়া ভিসিট বা ব্যবসায়িক কাজে আসে। অস্ট্রেলিয়া ভিসিট ভিসা খরচ হয় – ২ ০ ০ থেকে ১ ৫ ০ ০ অস্টেলিয়ান ডলার। এই ভিসার কোড -৬ ০ ০ (subclass-৬ ০ ০ )
অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :-
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের কলার ফটো
- ভিসা ফি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
অস্ট্রেলিয়া পাটনার ভিসা প্রসেসিং- PARTNER VISA:-
অস্ট্রেলিয়া পাটনার ভিসার ধরণ :-
- টেম্পোরারি পাটনার ভিসা – আপনি যদি অস্ট্রিলিয়াতে থাকেন তাহলে পাটনার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার কোড – ৮ ২ ০
- পার্মানেন্ট পাটনার ভিসা – আপনি যদি পার্মানেন্ট পাটনার ভিসার আবেদন করেন এই ভিসার কোড -৮ ০ ১।
- অফশোর পাটনার ভিসা – এই ভিসা বাহিরে দেশ থেকে আসতে আবেদন করতে হয় এই ভিসার কোড -৩ ০ ৯ এবং ১ ০ ০।
অস্ট্রেলিয়া পাটনার ভিসার খরচ :-
অস্টেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী পাটনার ভিসায় আপনার খরচ হতে পারে – ৯ ০ ০ ০ থেকে ৯ ৫ ০ ০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
অস্ট্রেলিয়া পাটনার ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :-
- পাসপোর্ট
- জন্মসনদ
- মেরিজ সার্টিফিকেট
- পাটনা এর নাগরিক সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- ভিসা মেডিকেল রিপোর্ট
অস্ট্রেলিয়া পার্মানেন্ট ভিসা প্রসেসিং – PR VISA:-
অস্ট্রেলিয়া পার্মানেন্ট ভিসা বলতে বুজায় – স্থায়ী বসবাসের অনুমতি। এই ভিসা কোন স্পন্সর প্রয়োজন নেই। নিজেই আবেদন করতে পারবেন। তবে কিছু যোগ্যতা লাগবে যেমন বয়স ১ ৮ থেকে ৪ ৫ , পেশাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। এই ভিসার কোড – ১ ৮ ৯ /১ ৯ ০ /৪ ৯ ১
অস্ট্রেলিয়া ইনভেস্টের ভিসা প্রসেসিং – INVESTER VISA:-
এই ভিসায় আবেদন করতে হলে আপনাকে ন্যূনতম ৫ ০ ০ ০ ০ ০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বিনিয়গ করার পরিকল্পনার সাবমিট করতে হবে এবং ওই ব্যবসা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। অস্টেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী ৮ ০ ০ ০ থেকে ১ ৫ ০ ০ ০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার হতে পারে। এই ভিসার কোড -১ ৮ ৮ এ / ১ ৮ ৮ বি /১ ৮ ৮ চি।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ এম্বাসি:-
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ এম্বাসির ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
অস্ট্রেলিয়া এম্বাসি ইন বাংলাদেশ :-
AUSTRALIAN HIGH COMMISSION DHAKA
ঠিকানা :- ১ ৭ ১ গুলিস্তান নর্থ – ঢাকা ১ ২ ১ ২
ফোন নাম্বার :- +৮ ৮ ০ ১ ৭ ১ ৩ ২ ৪ ৩ ৮ ০ ৫
ইমেইল :- AHC.DHAKA@DFAT.GOV.AU
বাংলাদেশ এম্বাসি ইন আল্ট্রলিয়া :-
BANGLADESH EMBASI & CONSULATE
ঠিকানা :- ৫ ৭ CULGOA CIRCUIT – অস্ট্রিয়ালিয়া ক্যাপিটাল টেরিটোরি।
ফোন নাম্বার:- +৬ ১ ৪ ১ ৬ ২ ৮ ৫ ০ ৬ ৯
ওয়েবসাইট :- CANBERRA.MOFA.GOV.BD
বাংলাদেশের সকল এম্বাসি সম্পর্কে জানতে পড়ুনঃ বাংলাদেশের সকল এম্বাসি ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
অস্ট্রেলিয়া টাকার মান কত:-
নিচে আপনাকে অস্টেলিয়া টাকার রেট দিলাম। মনে রাখবেন টাকার রেট সব সময় পরিবতনশীল আপনি আজকে অস্টেলিয়ার টাকার লাইভ রেট জানতে ভিসিট করুন।
- অস্ট্রেলিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা = ৭ ৫. ৪ ৭ টাকা
- অস্ট্রেলিয়া ১ ০ ০ টাকা বাংলাদেশের = ৭ ৫ ০ ০ টাকা
1 thought on “অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী & অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং”